ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত মামলার সিডি (কেস ডকেট) নিয়ে আগামী ১২ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ২৪ আগস্ট বিফল হন কাজল। ৮ সেপ্টেম্বর জামিন চেয়ে আবেদন করেন। যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন, আইনজীবী ফুয়াদ হাসান ও রিপন কুমার বড়ুয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ১০ মার্চ শেরে বাংলা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গত ২ মে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গভীর রাতে যশোরের বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তের একটি মাঠ থেকে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিজিবির করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে যশোরের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারেও পাঠানোর আদেশ দেন।