সাংবাদিক নেতা ও দৈনিক সংগ্রাম–এর প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মগবাজারে দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুহুল আমিন গাজী ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি।
আজ সন্ধ্যায় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, গাজী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বের হলে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হয়। তখন কাদের মোল্লাকে ‘কসাই কাদের’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ষষ্ঠ শাহাদৎবার্ষিকী আজ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
পরদিন ওই ঘটনায় আফজাল হোসেন নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় সংগ্রাম-এর সম্পাদক আবুল আসাদ ছাড়াও পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী এবং বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।