ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকদের ঐক্য কেবল তাঁদের পেশাগত সুযোগ–সুবিধা রক্ষা করার জন্য নয়। তাঁরা যদি এ ঐক্য করেন, তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। সাংবাদিকতার জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যে একেবারেই অপরিহার্য, তা তাঁরা কিছুটা হলেও রক্ষা করতে পারবেন।
আতাউস সামাদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ রোববার আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জানি, সাংবাদিকেরা এখন কী বিপদের মধ্যে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে যখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মালিক হরণ করছে, আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রও হরণ করছে। তখন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য ঐক্য দরকার। আমরা দেখছি, শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে অপমানজনক তৎপরতা চলছে। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আপনারা যে রকম ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, তা খুবই জরুরি। আপনাদের ঐক্য স্থায়ী হওয়া দরকার।’
এ সময় সাংবাদিক আতাউস সামাদের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, কবি হেলাল হাফিজ, ইংরেজি দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক শামসুল হক, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, মুন্নী সাহা প্রমুখ।
স্মরণসভায় প্রথমবারের মতো আতাউস সামাদ স্মৃতি পুরস্কার ২০২১ দেওয়া হয় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ফটোসাংবাদিক এ বি এম রফিকুর রহমানকে।