জনগণ গণতন্ত্রহীনতা ও বিচারহীনতায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চতুর্দিক থেকে জনগণ ফুঁসে উঠছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক সমাবেশে নুরুল হক এসব কথা বলেন।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে নুরুল ও তাঁর সহযোগীদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনার এক বছর পূর্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে ‘বিচারহীনতার বিরুদ্ধে কালো পতাকা মিছিল’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে নুরুল সমাপনী বক্তব্য দেন।
নুরুল হক বলেন, জনগণ গণতন্ত্রহীনতা ও বিচারহীনতায় ভুগছে। দীর্ঘ ১২ বছরে দমন-পীড়ন করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে সরকার। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানে নোংরা দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে। দেশের গণতন্ত্রকামী জনতা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হতে দেবে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বর্তমান সরকারের পরিণতি হবে আইয়ুব খান, এরশাদের মতো স্বৈরশাসকদের মতোই। চতুর্দিক থেকে জনগণ ফুঁসে উঠছে।
‘দেশে সাংবাদিক হত্যা, বুয়েটে আবরার হত্যা, কুমিল্লায় তনু হত্যা, কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে’ সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে ডাকসু ভবনে হওয়া হামলায় আহত তুহিন ফারাবি, আদিব আরিফ, মশিউর রহমান ও আকরাম হুসাইন বক্তব্য দেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন। এরপর কালো পতাকা মিছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তাঁরা।
এদিকে ডাকসু ভবনে হওয়া হামলার ঘটনার এক বছর হয়ে গেলেও এখনো তদন্তই শেষ করতে পারেনি কমিটি। কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা বলতে পারছি না।’
গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের কক্ষে বাতি নিভিয়ে হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে নুরুলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন৷ এই হামলার আগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা সেখানে ভাঙচুর চালান৷
হামলার ঘটনা তদন্তে পরদিন ২৩ ডিসেম্বর ৬ সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।