ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন

সব ‘দায়’ কুকুরের’

  • সরকারের জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বেওয়ারিশ কুকুর ৪৮ হাজার ৫১২টি।

  • এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে কুকুরে আক্রমণের শিকার ৩৬ হাজার লোক সেবা নিয়েছেন।

পথেঘাটে বেওয়ারিশ কুকুর থাকবে কি থাকবে না, এই আলোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি হচ্ছে, পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন পর্যন্ত হয়েছে।

এক পক্ষের দাবি, রাস্তায় কুকুরের যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ঠ, সময়–অসময়ে কুকুর মানুষকে তাড়া করে। শহর মানুষের জন্য, কুকুরদের জন্য নয়। অন্য পক্ষের দাবি, শহর থেকে কুকুর তাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা শুধু অমানবিকই নয় বেআইনিও। সড়কে, দেয়ালে পথকুকুরদের (বেওয়ারিশ কুকুর) ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ‘প্রাণবিক ঢাকা’ গড়ে তোলার দাবি তাদের।

কুকুর নিয়ে পক্ষ–বিপক্ষের এই আলোচনা শুরুর কারণ একটি বক্তব্যকে ঘিরে। গত ৩০ জুলাই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসীর অভিপ্রায় অনুযায়ী বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’

ওই বক্তব্যের প্রায় চার সপ্তাহ পর আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়। তাতে বলা হয়, ৩০ হাজার কুকুর শহরের বাইরের স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে করপোরেশনের। এরপরই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, পক্ষ–বিপক্ষ তৈরি হয়। তবে এখন দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, কুকুর সরানোর বিষয়টি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে মাত্র, চূড়ান্ত কিছু নয়।

কুকুর নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বন্ধ

একসময় সিটি করপোরেশন আদিম নৃশংসতায় পিটিয়ে কুকুর নিধন করত। ২০১২ সালে উচ্চ আদালত নির্বিচার কুকুর নিধনকে অমানবিক উল্লেখ করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে কুকুরকে বন্ধ্যা (প্রজননক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া) করে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। আর ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইনের সপ্তম ধারা অনুযায়ী, মালিকবিহীন কোনো প্রাণীকে নিধন বা অপসারণ করা যাবে না৷

দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৯ মাস ধরে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ বন্ধ রয়েছে। আর উত্তর সিটিতে এই কাজটি গত ৯ মাস বন্ধ আছে।

অন্যদিকে কুকুর নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রমও থেমে আছে। একদিকে কুকুর নিধনে নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলো যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাজধানীতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। এতে কুকুরের আক্রমণের শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর সাড়ে ৩ লাখ লোক কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। ৬৪ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে থাকা জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্রের প্রতিটিতে দিনে গড়ে ১৫ জন আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রাণিপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠন বলছে, সিটি করপোরেশনের উদাসীনতায় রাজধানীতে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। স্থানান্তর না করে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়ার দাবি তাদের।

দক্ষিণ সিটিতে ২৯ মাস এবং উত্তর সিটিতে ৯ মাস কুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে।

রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের হিসাবে, সেখানে প্রতিদিন ঢাকা ও আশপাশের এলাকার দুই শতাধিক মানুষ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। ২০১৮ সালে কুকুরের আক্রমণে আহত ৮১ হাজার রোগী সেবা নিয়েছেন হাসপাতালটিতে। ২০১৯ সালে রোগী ছিল ৭৬ হাজার। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ৩৬ হাজার লোক কুকুরে আক্রমণের পর সেবা নিয়েছেন।

৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ওই হাসপাতালে কথা হয় রাজধানীর কদমতলীর বাসিন্দা নিলুফার বেগমের সঙ্গে। তাঁর ৮ বছর বয়সী ছেলে নজরুলকে গলির ভেতরে তাড়া করেছিল কুকুর। সে দৌড়েও নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। কুকুরের কামড়ে তার শরীরের পেছনে ক্ষত হয়েছে। সেবা পেতে তাকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। কারণ, সেখানে কুকুরের কামড়ে আহতদের দীর্ঘ সারি ছিল তখন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ভোলানাথ বসাক প্রথম আলোকে বলেছেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা কম ছিল। এখন এই সংখ্যা বেড়েছে। শিশুরা বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকার বেশি হচ্ছে।

২৯ মাস ধরে কার্যক্রম বন্ধ দক্ষিণ সিটির

কুকুর নিধনে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর ২০১২ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ‘অভয়ারণ্য’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাতঙ্ক প্রতিরোধ টিকা দেওয়ার জন্য সমঝোতা করে। ২০১৪ সালে সমঝোতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আর মেয়াদ নবায়ন করেনি।

ডিএসসিসির ভেটেরিনারি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কুকুর বন্ধ্যাকরণের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটির মাধ্যমে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বিরতি দিয়ে ছয় মাস এই কার্যক্রম চালানো হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কত কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ করা হয়েছে, কী পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে—এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য ভেটেরিনারি বিভাগের কাছে নেই।

এই বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চের পর বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর কোনো কার্যক্রম নেওয়া হয়নি। সিটি করপোরেশন কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নিজেদের দায়িত্ব পালন না করে এখন স্থানান্তরের মতো নির্মম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মনে করেন প্রাণিপ্রেমীরা। পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্য ফাইজা ফাইরোজ প্রথম আলোকে বলেন, আগে থেকেই বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি ঠিকভাবে চালু রাখলে কুকুরের সংখ্যা বাড়ত না। স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত না নিয়ে বন্ধ্যাকরণ করা জরুরি।

কুকুর সরানোর বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান ডিএসসিসির ভেটেরিনারি কর্মকর্তা এ বি এম শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কুকুর স্থানান্তর কোনো সমাধান নয়। সরিয়ে ফেললেও দেখা যাবে কুকুর আগের জায়গাতেই আবার ফিরে আসবে।

সমঝোতা করেই দায় সেরেছে উত্তর সিটি

কুকুর বন্ধ্যা করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২০১৬ সালের ২৮ মে ‘অভয়ারণ্য’ ও ‘হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের’ সঙ্গে নতুন করে সমঝোতা স্মারক সই করে। এর আওতায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে ডিএনসিসি এলাকার চার হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ ও টিকা দেওয়ার কথা। ২০১৭ সালের জুনে এর মেয়াদ শেষ হয়। এরপর আরও চারবার সমঝোতার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সমঝোতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তা এখন পর্যন্ত বাড়ানো হয়নি।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের দুজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, শুরু থেকেই বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সিটি করপোরেশন উদাসীন। কুকুর ধরা ও বন্ধ্যাকরণের মতো কোনো লোকবল সিটি করপোরেশনের নেই। কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ ঠিকমতো হলে শহরে কুকুরের সংখ্যা এত বাড়ত না। বেশ কয়েক বছর ধরে বেওয়ারিশ কুকুর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য টেন্ডার করার কথা বলা হলেও তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে না।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, কুকুর বন্ধ্যাকরণ ও টিকা দিতে ‘অভয়ারণ্যকে’ কোনো টাকা দিতে হবে না। কুকুর ধরতে জ্বালানি খরচ, চালকসহ সিটি করপোরেশন দুটি ট্রাক সরবরাহ করবে। আর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি মার্কেটের নিচতলার একটি অংশ ‘অভয়ারণ্যকে’ ব্যবহার করতে দেবে। তবে নথিতে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ডিএনসিসির বাজেটে মেয়রের ঐচ্ছিক খাত থেকে তাদের ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আবার সমঝোতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ডিএনসিসির স্থাপনা ব্যবহার করে যাচ্ছে অভয়ারণ্য।

কুকুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান। কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কেন করে না, এমন লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত জনবল–সংকটের কারণে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। অভয়ারণ্যের সঙ্গে নতুন করে সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

বন্ধ্যাকরণের চেয়ে ভ্যাকসিনে আগ্রহী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

২০২০ সালের মধ্যে দেশ থেকে স্থায়ীভাবে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে ২০১১ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির আওতায় চারটি কর্মকৌশল নির্ধারণ করে। এগুলো হচ্ছে জলাতঙ্ক রোগ ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম জোরদার করা, কুকুরের কামড়ের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, ব্যাপক হারে কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাদান এবং লাইগেশন ও খোজাকরণের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ।

তবে গত ৯ বছরেও কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজটি শুরুই হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের জলাতঙ্ক কর্মসূচি–সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, একটি মাদি কুকুর বছরে আটটি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে। বন্ধ্যাকরণ করলে কুকুরের সংখ্যা স্বাভাবিক কারণেই অনেক কমবে। কুকুরের বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি চালু থাকলে ভ্যাকসিনের কেনাকাটা অনেকটা কমে যাবে। এতে অনেক ‘বাণিজ্য’ বন্ধ হয়ে যাবে।

জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে কুকুর বন্ধ্যাকরণের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু এই খাতে কখনোই কোনো টাকা বরাদ্দ হয়নি। ভ্যাকসিনেশনের জন্যই নিয়মিত বরাদ্দ থাকছে
শাহনীলা ফেরদৌসী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক

চিকিৎসকেরা বলছেন, ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্কের জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। জলাতঙ্কের জীবাণুবাহী অন্য প্রাণীগুলো হচ্ছে বিড়াল, শিয়াল, বানর ও বেজি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো কুকুরকে তিন বছরে তিনবার জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়া গেলে দেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করা সম্ভব। কারণ, এসব কুকুর যে বাচ্চা দেবে, সেগুলোর দেহেও জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে।

জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬০টি জেলায় এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ৪ হাজার ৫০৬টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় তিনবার টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

গত বছর জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৮ হাজার ৫১২টি বেওয়ারিশ কুকুরকে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৯৩৫টি কুকুরকে গত বছরের মে মাসে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা (প্রথমবার) দেওয়া হয়। দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের মে মাসে। করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক শাহনীলা ফেরদৌসী প্রথম আলোকে বলেন, জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে কুকুর বন্ধ্যাকরণের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু এই খাতে কখনোই কোনো টাকা বরাদ্দ হয়নি। ভ্যাকসিনেশনের জন্যই নিয়মিত বরাদ্দ থাকছে।