সারা দেশে সব গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া, নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সচিবালয়ের সামনে অনশন করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তাঁদের ব্যানারও কেড়ে নিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রছাত্রীদের একটা অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে জড়ো হন। সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে আবার প্রেসক্লাবের সামনে নিয়ে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন—‘সারা দেশে হাফ পাশ, দিতে হবে দিয়ে দাও’, ‘সড়ক হত্যার বিচার চাই’।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচটি শর্ত দিয়ে শিক্ষার্থীদের যে অর্ধেক ভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। সারা দেশে শর্তহীনভাবে সড়ক, নৌ ও লঞ্চ রুটে অর্ধেক ভাড়া নিতে হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বেলা একটার পর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আবার মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের হাতের ব্যানার কেড়ে নেন। পরে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান।
গত ৪ নভেম্বর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো করা হয়। পরে গত ৭ নভেম্বর গণপরিবহনে ভাড়া ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর প্রতিবাদে ১৮ নভেম্বর ঢাকার শিক্ষার্থীরা অর্ধেক দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরই মধ্যে ২৪ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মারা যান। পরে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার আন্দোলনের সঙ্গে নিরাপদ সড়কের দাবি যোগ হয়। চলমান আন্দোলনের মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর রামপুরায় বাসচাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহত হন।