সংবাদপত্র হকার এজেন্টদের মাস্ক, গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছে নোয়াব

করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে নিরাপদ থেকে হকাররা যাতে পত্রিকা বিলি করতে পারেন, সে জন্য নোয়াবের পক্ষ থেকে মাস্ক ও গ্লাভস বিতরণ করা হয়। বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে। ছবি: প্রথম আলো
করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে নিরাপদ থেকে হকাররা যাতে পত্রিকা বিলি করতে পারেন, সে জন্য নোয়াবের পক্ষ থেকে মাস্ক ও গ্লাভস বিতরণ করা হয়। বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে। ছবি: প্রথম আলো

পত্রিকার এজেন্ট ও হকাররা যাতে করোনা সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে পত্রিকা বিলি করতে পারে সে জন্য সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) তিন হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ২৩ হাজার মাস্ক ও ২৩ হাজার গ্লাভস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নোয়াবের আহ্বানে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে বাংলাদেশ নিউজপেপার সার্কুলেশন ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। 

হকার ও এজেন্টদের কাছে মাস্ক ও গ্লাভস সরবরাহ করা হচ্ছে। বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে। ছবি: প্রথম আলো

বৈঠকে বাংলাদেশ নিউজপেপার সার্কুলেশন ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা জানান, সারা দেশে ২০ হাজার হকার রয়েছেন। এজেন্ট ও হকাররা যাতে নিজে নিরাপদ থেকে সংবাদপত্র গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে সে জন্য ২৩ হাজার মাস্ক ও ২৩ হাজার গ্লাভস দেওয়া হবে। এ ছাড়া হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে ৩ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে।

মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরেই পত্রিকা সরবরাহ করবেন হকারর। বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে। ছবি: প্রথম আলো

বৈঠকে বলা হয়, করোনার কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হল, ছাত্রাবাস বন্ধ। শহর এলাকায় অনেক অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে ভাইরাসের কারণে পত্রিকা বন্ধ। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা পত্রিকার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে হকারকে পত্রিকা দিতে নিষেধ করেছেন। কিছু হকার আতঙ্কের কারণে অনুপস্থিত থাকছেন।

মানুষের দোরগোড়ায় এভাবে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হকার্স সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বললে, তারা জানায়, পত্রিকা ছাপানো হলে সমিতি তা বিক্রি অব্যাহত রাখবে।

সারা দেশের হকার এজেন্টদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার বিষয়ে নোয়াব বিশেষ দৃষ্টি রাখবে। তাদের নোয়াবের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে। নোয়াবের এসব কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরেই পত্রিকা সরবরাহ করা হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো