রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত আহত ২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরপরই এক-দুজন করে আহত ব্যক্তিরা আসছেন। আমরা এ পর্যন্ত ২০ জনের মতো পেয়েছি। তাঁদের মধ্যে অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের মাথায় আঘাত রয়েছে, তাঁদের নিউরোসার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এখানে যাঁদের আহত অবস্থায় পেয়েছি, তাঁদের মধ্যে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বেশির ভাগই মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ বাধে। গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পথচারী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, হকারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গতকাল রাতের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে আজ সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। ঢাকা কলেজের ছাত্রদের একটি অংশ কলেজের ছাদে, আরেকটি অংশ চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে নিউমার্কেট ছাড়াও আশপাশের অন্যান্য মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নিউমার্কেট, রাফিন প্লাজা, বলাকা সিনেমা হল ও গাউছিয়া মার্কেটের সামনে অবস্থান নেন।
ছাদে থাকা ঢাকা কলেজের ছাত্ররা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল ছুড়তে থাকেন। ব্যবসায়ীরাও নূরজাহান মার্কেটের ছাদ থেকে ইটপাটকেল ছোড়েন। চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে থাকা ঢাকা কলেজের ছাত্ররা কিছুক্ষণ পরপরই সংঘবদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীদের ধাওয়া দিতে থাকেন। ব্যবসায়ীরাও পাল্টা ধাওয়া দেন।
সংঘর্ষের কারণে রাজধানীর ব্যস্ত মিরপুর সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে।