হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ছয় বছর হলো আজ শুক্রবার। আজ সকাল সাড়ে সাতটায় গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর প্লটের ওই ভবনের সামনে হামলায় নিহত ব্যক্তিদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তারপর ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছয় বছর আগের হামলায় সাতজন জাপানি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাঁরা মেট্রোরেল লাইন ওয়ান প্রকল্পের গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। আমরা কখনোই তাঁদের ভুলব না। বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সেপ্টেম্বরে লাইন ১–এর কাজ শুরু হবে। এই কাজ চালিয়ে যাওয়া ও শেষ করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। বাংলাদেশ, ভারতসহ এ ঘটনায় যাঁরা ভুক্তভোগী হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আমরা খুবই ব্যথিত। এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, কীভাবে ঘটছে। একসঙ্গে কাজ করে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সকালে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
ভবনটি এখন বাসা হিসেবে ব্যবহার করার কারণে তাঁরা চান না এখানে বিশৃঙ্খলা হোক। এ কারণে কেউ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সুশৃঙ্খলভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ।
সেদিন জঙ্গিরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২০ দেশি-বিদেশি নাগরিককে, যাঁদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি। সেই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তাও নিহত হন।