শুল্কমুক্ত কাপড় খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ১১

শুল্কমুক্ত পণ্য খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ১১ আসামি।
 ছবি: সংগৃহীত

শুল্কমুক্ত পণ্য খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে একটি চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউমার্কেট ও তেজগাঁও এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে ৫০৮ রোল পর্দা উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, উদ্ধার করা এসব পর্দার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

গ্রেপ্তার ওই ১১ জন হলেন শাহাদাত হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রুবেল আকন, মনির হোসেন, রবিন, শাহিন হাওলাদার, মাসুম, আরিফ হোসেন, সোহাগ ফরাজী, নাজিম ও কামাল হোসেন। রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আসামিরা বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাপড় আমদানি করে থাকেন। পরে এসব কাপড় অতিরিক্ত লাভের আশায় সুবিধামতো চোরাই পথে খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। এর ফলে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কাপড় চীন থেকে চট্টগ্রামে আসে। পরে কাপড়গুলো নেওয়া হয় ময়মনসিংহের ভালুকায়। কাপড়গুলো ঢাকায় আনার পর তা জব্দ করা হয়।

ডিবির এই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আইন অনুযায়ী, বন্ডের পণ্য রপ্তানি ছাড়া দেশের অন্য কোথাও বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। প্রাথমিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। দেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা যে পণ্য উৎপাদন করছে, তার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, বন্ডের সুবিধায় বাংলাদেশের আড়াই থেকে তিন হাজার গার্মেন্টস এসব কাপড় নিয়ে আসে। তবে বন্ড সুবিধায় আনা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র কাপড়গুলো চোরাই বাজারে বিক্রি করে। এতে আমাদের বস্ত্র খাত হুমকির মধ্যে পড়ছে।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হাসান আরাফাত ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাসের নেতৃত্বে অপরাধী চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও গণসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন, এডিসি ইফতেখারুল ইসলাম প্রমুখ।