জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)–এর শিশু অধিকারবিষয়ক সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। শিশুদের নিয়ে কাজ করা ১০টি সংগঠনের জোট চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ এ অভিযোগ করেছে।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার ইউপিআর সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতির চিত্র নিয়ে এক সভায় এ অভিযোগ তোলেন এনজিও প্রতিনিধিরা।
সভার মূল বক্তব্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মী মাইমুনা সৈয়দ আহমেদ বলেন, তৃতীয় পর্বের ইউপিআর–এ শিশু অধিকারবিষয়ক ৫৪টি সুপারিশের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪৫টি সুপারিশ সমর্থন করেছিল। কিন্তু সমর্থিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে জনসম্মুখে খুব বেশি তথ্য-উপাত্ত জানা যাচ্ছে না।
আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল বলেন, শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে সব পক্ষকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং সেসব উদ্যোগের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ শিশু, তাদের জন্য বিশেষ কাঠামো প্রয়োজন বলে মত দেন সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো নারী ও শিশুকে আলাদাভাবে বিবেচনা করতে পারছি না। এখনো শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি।’
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন শিশুবান্ধব আইন, বিচার ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক কাশফিয়া ফিরোজ বলেন, যে মেয়েশিশুরা করোনাকালে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে, তাদের কীভাবে আবার পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি।
সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক টনি মাইকেল গোমেজ বক্তব্য দেন। সভা সঞ্চালনা করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের উপদেষ্টা (চাইল্ড প্রোটেকশন অ্যান্ড জেন্ডার জাস্টিস) রাশেদা আকতার।