জল কুকুরের ডাক
শোনা যায় সন্ধ্যার বাতাসে
আরও দূরে
অরণ্য কিনারে
সিংহের ক্রন্দন
হেডিসের গতি...পঙক্তিগুলো শোয়েব শাদাবের। বহু বছর আগে রাজধানী ছেড়ে ত্রিশালে চলে যান কবি শোয়েব শাদাব। মাতৃভূমি ময়মনসিংহ থেকে বহু বছর পর ঢাকায় এসেছেন তিনি। যে শহরে সাহিত্য পত্রিকা ‘গাণ্ডিব’ বের করতেন ‘তাঁরা’, সেই শহরে এসেছেন শোয়েব শাদাব। দীর্ঘ ৩০ বছর পর আশির দশকের চির বোহেমিয়ান কবি শোয়েব শাদাব-এর সঙ্গে আড্ডা বসেছিল তাঁর বন্ধু ও স্বজনদের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সংস্কৃতিবিকাশ কেন্দ্রে এ আড্ডার আয়োজন করেছিল লিটলম্যাগ ‘লোক’। শোয়েব শাদাবকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে ছুটে আসেন কবির বন্ধু সাজ্জাদ শরিফ, হাবিব ওয়াহিদ, আযাদ নোমান, সরকার মাসুদ, বাহার রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আয়োজক ‘লোক’ সম্পাদক অনিকেত শামীম। আড্ডার মুখ্য আলোচক ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ এবং ‘চর্যাপদ’ সম্পাদক আযাদ নোমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘অনিন্দ্য’ সম্পাদক হাবিব ওয়াহিদ। অনুষ্ঠানে কবির কবিতা পাঠ করেন রশিদ কামাল, রিফাত আরা, আফরোজা সোমা, সালমা শেখ। আলোচনার একফাঁকে কবি শোয়েব শাদাব নিজেই উঠে দাঁড়িয়ে কবি সাজ্জাদ শরিফের লেখা ৩৫ বছর আগের একটি দীর্ঘ কবিতা মুখস্থ পড়ে শোনান। এতে উপস্থিত সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেন। কেননা লিখতে লিখতে অপ্রকৃতিস্থ হয়েই ত্রিশাল চলে গিয়েছিলেন তিনি। আড্ডার আবহ যেন তাঁর চেতনা নিংড়ে তুলে আনে কবিতা!
পরিবারের পক্ষ থেকে আড্ডার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান কবির দুলাভাই সাবেক হুইপ আবদুল করীম আব্বাসী এবং তাঁর ছোট ভাই শাহ মো. গোলাম ইয়াহিয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি রিপন আহসান ঋতু।
কবি শোয়েব শাদাবকে বলা হয় বাংলাদেশের বিনয় মজুমদার। কবিতা লিখতে লিখতে নিজের মধ্যে ডুব দিয়েছেন নিজের অজান্তেই। ১৯৯৩ সাল থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।