জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে ঢাকা নদীবন্দর টার্মিনালসহ সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ রোববার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ৩৪টি লঞ্চ সদরঘাটে এসেছে। গতকাল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণার আগেই এগুলো ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেছিল বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার প্রচার সম্পাদক বাবু গাজী।
আজ সকাল থেকে সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চের জন্য অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও লঞ্চ না পেয়ে তাঁরা ফিরে যান। আজ যে লঞ্চগুলো ঢাকায় এসেছে, সেগুলো যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার প্রচার সম্পাদক বাবু গাজী বলেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লঞ্চমালিকেরা গতকাল দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। আজও কোনো লঞ্চ চলছে না। তবে যে লঞ্চগুলো ঢাকায় এসেছে, সেগুলো কর্মসূচি ঘোষণার আগেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। এ কারণে সেগুলো গন্তব্যে এসেছে।
নৌ ব্যবস্থাপনা ও ট্রাফিক বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ বেলা ৩টায় লঞ্চমালিক সমিতি ও বিআইডব্লিউটিএর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
বাসমালিকদের ‘কায়দায়’ গতকাল দুপুর থেকে ধর্মঘট পালন শুরু করেন লঞ্চমালিকেরা। বাসমালিকেরা যেমন ধর্মঘটের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি, তেমনি লঞ্চমালিকেরাও কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষণা ছাড়া গতকাল দুপুরের পর ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চ মাঝনদীতে নিয়ে রেখে দেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে সদরঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থার কার্যালয়ে সাধারণ লঞ্চমালিকদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, চিঠি দিয়ে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল ভাড়া বাড়াতে।
এ বিষয়ে কোনো আশ্বাসও আসেনি। এ অবস্থায় মালিকেরা বলে দিয়েছেন, কেউই লঞ্চ চালাতে পারবেন না।
মালিকদের এই অঘোষিত ধর্মঘটে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল বিকেলে শত শত যাত্রী সদরঘাটে গিয়ে দেখেন, লঞ্চ চলছে না।