রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুই মামলা

বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নিহত হওয়ার ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

এ ছাড়া মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত শিক্ষার্থীর মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে নিরাপদ সড়ক আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় অনাবিল পরিবহনের বাসচালককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন।

ওসি রফিকুল ইসলাম আরও জানান, মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর উত্তেজিত জনতা কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বাসচালককে গণধোলাই দেয়, এতে তিনি আহত হন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর নাম সোহেল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা টিভি রোডের পলাশবাগ এলাকায় বাসচাপায় নিহত হয় মাইনুদ্দিন। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলের অপেক্ষায় ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইনুদ্দিন তার ভগ্নিপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস আরেক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে মাইনুদ্দিনকে চাপা দেয়। এতে মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ৯টি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়, এ সময় আরও ৩টি বাসে ভাঙচুর করা হয়।

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসচালককে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।