রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় পল্লবী, হাতিরঝিল ও কদমতলী এলাকা থেকে কিশোরীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন আশিক এলাহী (৭৯), ফজিলাতুন্নেছা (৬৪) ও আমেনা খাতুন (১৪)।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকার একটি বাসা থেকে শুক্রবার আমেনা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলার সময় মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন তার বাবা। এতে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ঝুলে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে হাতিরঝিল থানাধীন মালিবাগ বাগান টাওয়ারের ১০তলা থেকে আশিক এলাহীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিজ ফ্ল্যাটের রুমের ভেতরে বিছানায় পড়েছিল তাঁর অর্ধগলিত মৃতদেহটি।
উমর ফারুক বলেন, বাড়িটির ষষ্ঠ তলায় থাকতেন আশিক এলাহীর মেয়ে। আর দশম তলায় এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আশিক এলাহী। ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ থেকে সাত দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ কয়েক দিন তাঁর পরিবারের কেউই তাঁর রুমে গিয়ে খোঁজখবর নেয়নি। রাতে দুর্গন্ধ পেয়ে তাঁর স্বজনেরা প্রথমে লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেন।
আশিক এলাহীর বাড়ি ফেনীর পরশুরাম উপজেলায়। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বলে জানান উমর ফারুক।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে ফজিলাতুন্নেছা নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জেসমিন আক্তার মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কীটনাশক বা ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন।