রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় গত দুদিনে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে ট্রাকের চাপায় দুই বছর বয়সী শিশু ও পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বাসের চাপায় বাস কন্ডাক্টর মারা গেছেন। এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাতে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি প্রাণ হারান।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন মদিনা জামে মসজিদের সামনে দুই বছর বয়সী শিশু শারমিন আক্তার খেলা করছিল। একপর্যায়ে একটি ট্রাক পার্কিং করার সময় শিশুটি ওই ট্রাকের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, চালকসহ ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। শিশুটি তার মা বাবার সঙ্গে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড বস্তিতে থাকত। তার বাবা শাহীন মিয়া ট্রাকস্ট্যান্ডের ইঞ্জিন মিস্ত্রি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টোদিকে বাহাদুর শাহ পার্কের মোড়ে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহন নামের একটি বাসের ধাক্কায় একই নামের আরেকটি বাসের কন্ডাক্টর সিরাজুল ইসলাম (৪৫) আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বেসরকারি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক সিরাজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ঢাকার অদূরে টঙ্গীর বোট বাজারে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হরিপুর উপজেলার ঘোষসাই নগর গ্রামে। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ বউ বাজারে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পান অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। সেখান থেকে পথচারীরা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স ৪৫ থেকে ৪৭ বছর হতে পারে।