শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে হলফনামা আকারে চারটি মন্ত্রণালয়কে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। গত বছরের অক্টোবরে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ওই রিট করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। সেই রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এক যুগেও নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ওই রিটটি করা হয়।
আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের ওই রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চারটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে।