যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢাবির এক ভর্তি জালিয়াত

মহিউদ্দিন রানা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আজীবন বহিষ্কার হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন রানা।

সম্মেলনের প্রায় এক বছরের মাথায় ১৪ নভেম্বর রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও পৃথকভাবে ২০০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ।

সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের তালিকায় ১৮৬ নম্বরে মহিউদ্দিন রানার নাম রয়েছে।

সংগঠনের কারও বিরুদ্ধে জালিয়াতি-চাঁদাবাজি-ক্যাসিনোবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
শেখ ফজলে শামস্ পরশ, যুবলীগের চেয়ারম্যান

২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হল থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দিন রানাসহ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ তাঁদের কাছে এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) কার্ডের মতো দেখতে জালিয়াতি করার ডিভাইস ও মুঠোফোনে প্রশ্নপত্র পাওয়া গিয়েছিল।

শেরপুরের ছেলে মহিউদ্দিন তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (সোহাগ-জাকির কমিটি) সহসম্পাদক ছিলেন। অভিযোগ ওঠার পরপরই মহিউদ্দিনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আরও ১৪ শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল, মহিউদ্দিন রানা জালিয়াতদের ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহ করেছেন। তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

আলোচিত প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে যে অভিযোগপত্র দিয়েছে, সেখানেও মহিউদ্দিনের নাম আছে।

জানতে চাইলে যুবলীগের পদ পাওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন মহিউদ্দিন রানা৷ তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনের কারও বিরুদ্ধে জালিয়াতি-চাঁদাবাজি-ক্যাসিনোবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।