ঈদ উপলক্ষে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সদরঘাটে এখন পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়নি। মালিকেরা বলছেন, যাত্রীদের চাপ শুরু হলে ঈদের বিশেষ সার্ভিসের লঞ্চ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার পরিচালক মামুনর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন নৌপথের জন্য অতিরিক্ত লঞ্চ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। যাত্রীর চাপ হলে প্রয়োজনে বিশেষ লঞ্চ পরিচালনা করবেন মালিকেরা। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিশেষ ঈদ সার্ভিস থাকবে কি না, তা নির্ভর করবে যাত্রীর চাপের ওপর।
বেলা পৌনে তিনটার সময় সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ লঞ্চের তৃতীয় শ্রেণি বা ডেকে খুব কমসংখ্যক যাত্রী এসেছেন।
ঢাকা থেকে সরাসরি বরিশালগামী লঞ্চ পারাবত-১০–এর ডেকে এ সময় কোনো যাত্রী ছিল না। এ লঞ্চটি রাত ৯টায় সদরঘাট ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে ঝালকাঠিগামী ফারহান-৭ লঞ্চের ডেকে মোট ১৮ জন যাত্রী দেখা গেছে। একটি পরিবারের চারজন বসে ছিলেন এক পাশে। মা, দুই মেয়ে ও দাদি। বেলা ২টার সময় এসে পুরো ডেক খালি পেয়েছেন বলে জানান তাঁদের একজন।
কেবিনের দায়িত্বে থাকা মো. রায়হান বলেন, কেবিনের কিছু যাত্রী এসেছেন। তবে এখনো চাপ শুরু হয়নি।
ভোলার বোরহানউদ্দিনগামী লঞ্চের গাজী সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কেবিনের যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে ডেকে এখনো যাত্রীদের চাপ তৈরি হয়নি। ঈদের সময় লঞ্চগুলোর একমুখী আয় হয়। কারণ, যাত্রীদের গন্তব্যে নামিয়ে দিয়ে খালি ফিরে আসতে হয়।
এ দিকে সদরঘাটে যাত্রীদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন বলে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও দায়িত্ব পালন করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
পুলিশের স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মাইকে যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে।