যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনে শিশু, দম্পতিসহ তিনজন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন স্বামী ও স্ত্রী আজ সোমবার ভোর পাঁচটায় মারা যান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান জেয়াসমিন আক্তার খাদিজা (২৫) ও সকাল আটটায় মারা যান স্বামী আবদুল করিম লিটন (৩০)।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক আইয়ুব হোসেন। তিনি জানান, আবদুল করিমের শরীরের ৫৪ শতাংশ এবং স্ত্রী জেয়াসমিন আক্তারের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ফাতেমার শরীর ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে একটি বাসার গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে থেকে ফ্রিজের কম্প্রেসর বিস্ফোরণে শিশু, দম্পতিসহ তিনজন দগ্ধ হন।
তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
খাদিজার বড় ভাই সুরুজ রানা জানান, মাতুয়াইল আরাবাড়ি বটতলা এলাকায় চারতলা বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন আবদুল করিম।
ভোররাতে খাদিজা সাহ্রি রান্নার জন্য গ্যাসের চুলায় ম্যাচ জ্বালালে হঠাৎ সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ফ্রিজের কম্প্রেসর বিস্ফোরিত হয়। এতে সবাই দগ্ধ হন। তাঁদের ধারণা, হয়তো গ্যাসের লিকেজ থেকে ঘটনাটি ঘটতে পারে।
আবদুল করিম পেশায় মুদিদোকানি। তাঁদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার বোনকোলা রাঘবপুর গ্রামে।