করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ উপায়—যে যে কারণে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয় সেই কারণগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা। আর এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে মাঠে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ মূকাভিনয় শিল্পী। তাঁরা বিভিন্ন ‘পাবলিক প্লেসে’ অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন—করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়। মূকাভিনয় শিল্পীরা সবাই ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন’-এর কর্মী।
গতকাল শুক্রবার টিএসসি প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেল, মাইম অ্যাকশনের কয়েকজন সদস্য অভিনয় করে দেখাচ্ছেন—যত্রতত্র করমর্দন করা, কোলাকুলি করা এবং হাঁচি দেওয়া ঠিক নয়। প্রতীকীভাবে সাবান দিয়ে হাত ভালো ভাবে ধোয়ার কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন নাটিকার কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা মীর লোকমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। লোকমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে আমি মনে করি, আমাদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই হিসেবেই মাইম অ্যাকশনের কর্মীরা বিভিন্ন সময় সামাজিক ইস্যুতে সরব থেকেছে। করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে আমরা মূকাভিনয় শিল্পীরা ভূমিকা রাখতে পারি। আর এই চিন্তা থেকে আমরা কয়েক দিন ধরে কাজ করছি।’
মীর লোকমান এবং তাঁর সহকর্মীদের পরিবেশনা দেখছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানজিন আল আলামিন। তিনি বললেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক অসংগতির বিরুদ্ধে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে মাইম অ্যাকশনকে সরব ভূমিকা পালন করতে দেখছি। তারা এখন নিয়মিত করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এই সংগঠনটিকে নিয়ে গর্ববোধ করি।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন শুধু মাঠে-ঘাটেই সরব নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা এ নিয়ে সক্রিয়। সভাপতি লিজাইনুল ইসলাম বলেন, ‘জনসমাগম যেখানে বেশি হচ্ছে সেসব স্থানে গিয়ে আমরা আরও বেশি কাজ করতে চাই। আমরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড তৈরি করব এবং সেগুলোর মাধ্যমে আমরা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’ তিনি আরও জানালেন, সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান যদি চায় তাহলে আমরা তাদের করোনাভাইরাস বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারি।