স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ধানমন্ডির বাসা ঘিরে পুলিশের টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই জিডির তদন্ত কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে আদালতের অনুমতি চাইবে পুলিশ।
আজ শুক্রবার রাতে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব হাসান প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রাজীব হাসান বলেন, একটি অভিযোগ ওঠার কারণে সাংসদ মুরাদ হাসানের বাসার আশপাশে পুলিশের টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাসা থেকে বের হওয়ার পর মুরাদ হাসান আর সেখানে ফেরেননি। আর জিডির তদন্তে আগামীকাল আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।
জিডির তদন্তে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন কেন—জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব বলেন, মুরাদ হাসানের স্ত্রীর অভিযোগ অধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। এ কারণে জিডির তদন্তে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। আগামীকাল শনিবার এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ তুলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে সহযোগিতা চান মুরাদ হাসানের স্ত্রী চিকিৎসক জাহানারা এহসান।
জাহানারা এহসান ফোন করে অভিযোগ করেন, তাঁকে ও সন্তানদের মারধর, মানসিক নির্যাতন করা ছাড়াও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি বলেন, ‘মুরাদ হাসান কিছু দিন ধরে অকারণে আমাকে ও সন্তানদের গালাগাল করছিলেন, চালাচ্ছিলেন মানসিক নির্যাতন। সেই সঙ্গে দিচ্ছিলেন হত্যার হুমকি।’ পরে তিনি ধানমন্ডি থানায় মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে জিডি করেন।
নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে গত মাসে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মুরাদ হাসান। আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।