রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে আজ বৃহস্পতিবার আবারও বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পাঁচ শ্রমিককে মালিকপক্ষের মারধরের প্রতিবাদ ও বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আজ সকাল ৮টার দিকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
বিক্ষোভ শুরুর পর একপর্যায়ে মিরপুর ১৪ নম্বরে হামিম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা। এতে কারখানা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায়। এরপর পোশাকশ্রমিকেরা ১৪ নম্বরের পথচারী পারাপার সেতুর নিচে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে তাঁরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে আশপাশের এলাকাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর ১৩ নম্বরেও রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন পোশাকশ্রমিকেরা। তাঁরাও সেখানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিরপুর ১৩ ও ১৪ নম্বরে রাস্তায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। তবে এসব আসামি অজ্ঞাত। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল মিরপুর ১৪ নম্বরে নোটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় ভাঙচুর ও কার্যালয়ের পাশে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অপর একটি মামলা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা গতকাল রাতে মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছে কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়। শ্রমিকদের একটি অংশ মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বরে যাওয়ার পথে ব্যারিকেড দেয়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শ্রমিক বিক্ষোভ চলার সময় সড়কের তিন দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।