৯০ ভরি স্বর্ণ লুট

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

এস এম সাকিব হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে ৯০ ভরি সোনা লুটের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা–পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ওই কর্মকর্তা ও তাঁর দুই সহযোগীকে আদালতের নির্দেশে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তার নাম এস এম সাকিব হোসেন। তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক। তাঁর অপর দুই সহযোগী হলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও সোর্স হারুন। এস এম সাকিব হোসেন ৩৪তম বিসিএসে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিয়োগ পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। যশোরের ছেলে সাকিব থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ডাকাতির অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন। এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য তিনি দিতে চাননি। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৭ জানুয়ারি সাকিব হোসেন, সেপাই আমিনুল ইসলাম ও সোর্স হারুন রাজধানীর জিন্দাবাহার লেনের একটি সোনার দোকানে যান। ডিবি পরিচয়ে তাঁরা ওই দোকানের মালিককে তুলে নিয়ে যান এবং ৯০ ভরি সোনা লুট করেন। এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মামলা করেন। পুলিশ প্রথমে দোকানের একজন কর্মচারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সোমবার তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে তাঁরা ডাকাতির ঘটনায় সাকিব হোসেনের সম্পৃক্ততার কথা জানান। তাঁদের জবানবন্দির ভিত্তিতে সোমবারই পুরান ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাকিব হোসেনকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেন ১৭ জানুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বেসিক ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস কোর্সে অংশ নিতে ঢাকায় আসেন। এই কোর্সের মেয়াদ তিন মাস।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, সাকিব হোসেন নবীন কর্মকর্তা হলেও দাপটের সঙ্গে চলতেন, তাঁর সেপাই আমিনুল ইসলামও কাউকে বিশেষ পাত্তা দিতেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নাম সাকিব শিকদার। সেখানে তিনি নিজেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। তা ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন অভিযানের ছবি ও ছাত্রলীগের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পোস্ট করেছেন।