১০ প্রকল্পের ৮টিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা।
নারায়ণগঞ্জ থেকে মেঘনা নদীর পানি শোধন করে রাজধানীতে সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসা কাজ শুরু করে ২০১৩ সালের অক্টোবরে। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। সাত বছরে মাত্র ৩৯ ভাগ কাজ করেছে ওয়াসা। এ অবস্থায় আড়াই বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। সঙ্গে প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয় ২ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। এখন আরও আড়াই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ওয়াসা।
ঢাকা ওয়াসার প্রকল্পভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলমান ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এই প্রকল্পগুলোর অনুমোদিত খরচের বাইরে আরও ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। আট প্রকল্পের চারটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চারটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটি প্রকল্পের একটি ২০২৩, অন্যটি ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এগুলোর একটির কাজ ২৩ ভাগ এবং আরেকটির মাত্র ৭ ভাগ হয়েছে। এই ১০ প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা।
ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো পরিশোধনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, পয়োবর্জ্য পরিশোধন এবং জলাবদ্ধতা নিরসন–সংশ্লিষ্ট। যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় যে উদ্দেশ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার পূর্ণ সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা কমছে। কারণ সময়, চাহিদা সব বদলে যাচ্ছে। ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে পানি সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় ওয়াসার কাছ থেকে নিয়ে এই দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছে।
নগরবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আকতার মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর নতুন একটি ধারা তৈরি হয়েছে। এটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। তিনি বলেন, প্রকল্প নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই সঠিকভাবে করতে হবে। অনুমোদনের পর প্রকল্পের খরচ আর বাড়ানো যাবে না—সরকারের এখনই এমন নিয়ম চালু করা উচিত।
ওয়াসার প্রকল্পের মতো বাড়ছে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) মেয়াদও। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন তাকসিম এ খান। নাগরিক সেবার মান নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও নানা বিতর্কের মুখে পড়লেও ওয়াসার এমডি পদে দফায় দফায় নিয়োগ পাচ্ছেন তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়া, নকশা অনুযায়ী কাজ না করা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। এসব কাজের সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জড়িত।
দুদকের প্রতিবেদনে ওয়াসার প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। তাতে বলা হয়, ওয়াসার প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনের বিষয়ে এমন কিছু শর্তারোপ করা হয়, যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ঠিকাদার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট পদ্ধতি ও রাজনৈতিক পরিচয় এবং কাজ পাওয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেন বর্তমানে একটি প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে স্পেসিফিকেশন ও নকশা অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হয় না এবং প্রকল্পের ব্যয়ভার অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।
প্রকল্প আটকে থাকছে, খরচ বাড়ছে
মেঘনা নদীর পানি শোধনের জন্য নেওয়া প্রকল্পটির নাম ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’। এটি ‘গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প’ নামে বেশি পরিচিত। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বিষনন্দী পয়েন্টের মেঘনা নদী থেকে পানি আনা হবে সিদ্ধিরগঞ্জের গন্ধর্বপুর এলাকায় নির্মাণাধীন শোধনাগারে। সেখানে শোধন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে তা রাজধানীর বাসায় বাসায় সরবরাহ করা হবে। দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি আসার কথা এই প্রকল্প থেকে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। সংশোধিত প্রকল্পে ২ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। ফলে এটি এখন ৮ হাজার ১৫১ কোটি টাকার প্রকল্প। প্রকল্পের একজন প্রকৌশলী নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জমি অধিগ্রহণসংক্রান্ত জটিলতা এখনো কাটেনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এবার প্রকল্প ব্যয় আর বাড়ানো হচ্ছে না।
সায়েদাবাদের ফেজ-৩
পানি শোধনের এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। মেঘনা নদীর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা এলাকা থেকে দৈনিক প্রায় ৯৫ কোটি লিটার অপরিশোধিত পানি সায়েদাবাদের শোধনাগারে সরবরাহ করার কথা। সেই পানি পরিশোধন করে বিদ্যমান সরবরাহের অতিরিক্ত দৈনিক প্রায় ৪৫ কোটি লিটার পানি ঢাকা মহানগরীতে সরবরাহ করা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য।
৪ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি), জার্মানির কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, দ্য ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ও ডানিডা। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পটির অগ্রগতি মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ। এই গতিতে কাজ চললে প্রকল্পটি কবে শেষ হবে বলা মুশকিল।
দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প
এ প্রকল্পের মাধ্যমে গুলশান, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার পয়োবর্জ্য পরিশোধন করে বালু নদে ফেলার কথা। দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পয়োবর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে ৫০ লাখ নগরবাসীকে সেবা দেওয়া ছিল প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। শুরুতে প্রকল্পের খরচ ছিল ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে খরচ বাড়ানো হয়েছে ৩৯৫ কোটি টাকা। এটি এখন ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকার প্রকল্প। প্রকল্পের ৭১ দশমিক ৬৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
জলাবদ্ধতার দুই প্রকল্প সিটি করপোরেশনে
ঢাকার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নয়নের দুই প্রকল্পের গতি কচ্ছপের গতিকেও হার মানিয়েছে। মেয়াদ বাড়ানোর পরও একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৩২ শতাংশ এবং আরেকটির মাত্র ৭ শতাংশ।
‘ঢাকা মহানগরীর ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং খাল উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। পাঁচটি খালের জমি অধিগ্রহণ করে খালগুলো খনন ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। এতে ঢাকা শহরের ৩০ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেত।
৫৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৩২ দশমিক ৭১ শতাংশ। ব্যয় হয়েছে ১৩৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
আরেকটি ছিল হাজারীবাগ, বাইশটেকি, কুর্মিটোলা, মান্ডা ও বেগুনবাড়ী খালে ভূমি অধিগ্রহণ এবং খনন প্রকল্প। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ৭ শতাংশ। দুই দফায় বাড়িয়ে এখন সংশোধিত মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর। খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
এ অবস্থায় গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব (খাল ও ড্রেনেজ) দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়। সে অনুযায়ী ড্রেনেজ-সংক্রান্ত ঢাকা ওয়াসার জনবল ও সম্পদ দুই সিটি করপোরেশনের কাছে চলে যাবে।
ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প
মূল উদ্দেশ্য ছিল যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মিরপুর ১, মাতুয়াইল, উত্তরা ও মিরপুর ১০—এই সাত এলাকার পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক পুনর্বাসন। ৩ হাজার ১৮২ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। গত এপ্রিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প
২০১৯ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত বাস্তব অগ্রগতি ৩৫ শতাংশ। এই প্রকল্পেরও মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে ওয়াসা।
পানির লাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন প্রকল্প
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানির লাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৩৮ ভাগ। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার বক্তব্য
ষষ্ঠবারের মতো ঢাকা ওয়াসার এমডির দায়িত্ব পাওয়া তাকসিম এ খান তিন মাসের ছুটি নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কিন্তু কারও কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে যাননি তিনি। তবে ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেম এমডির পক্ষে রুটিনকাজ করছেন। এই প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য আবুল কাশেমের মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ওয়াসার জনসংযোগ বিভাগের মাধ্যমে লিখিত প্রশ্নের জবাব পাঠায় ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের ধীরগতি ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে ওয়াসা বলছে, তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সরকার ও দাতা সংস্থার বিধিবিধান, রাস্তা খননের অনুমতি, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ও করোনা মহামারি। ওয়াসার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর হওয়ায় গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে দুটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে না পারায় ৯১ শতাংশ গ্রাহক খাওয়ার পানি ফুটিয়ে পান করেন। সংস্থাটির প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি আছে।
সরকারের অধিকাংশ সংস্থার মধ্যেই প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন প্রকল্প বিশেষজ্ঞ ও সরকারের সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঠিকাদারনির্ভর প্রকল্প হওয়ায় সমস্যা বেশি হচ্ছে। সংস্থাগুলোর সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সুশাসন ও জবাবদিহির অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।