দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের পরও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিক্ষক কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার। এই শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে জাতীয়করণের পাশাপাশি আট দফা দাবি জানায়িছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়। সংগঠন দুটি তাদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
মানববন্ধনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষকেরা মাসে ১ হাজার টাকা বাড়ীভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। এটি অপ্রতুল ও অসম্মানজনক। ব্যবস্থাপনা কমিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকনেতারা।
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি করে শিক্ষকনেতারা বলেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি করলে শিক্ষকদের মর্যাদাও বাড়বে। তাঁরা আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়ারও দাবি জানান।
বেসরকারি শিক্ষকদের আট দফা দাবিগুলো হচ্ছে মুজিব বর্ষেই জাতীয়করণ ঘোষণা, ঈদের আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ সরকারি অনুরূপ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতার জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ, স্বীকৃতিদান। এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দ্রুত এমপিওভুক্তি করা, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের প্রত্যাহার করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যোগ্য ব্যক্তিদের পদায়ন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনাসহ বিনা মূল্যে ডিভাইস ও শিক্ষাসামগ্রী প্রদান এবং সরকারি উদ্যোগে দুপুরের খাবার সরবরাহের দাবি আসে। এর পাশাপাশি শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্স শিক্ষকদের বদলি, শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধসহ শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্তসহ স্কুল পর্যায়ে নূন্যতম ডিগ্রি পাস ও কলেজ পর্যায়ে স্নাতকোত্তরদের নিয়োগ দেওয়া।