রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠে ভবন নির্মাণকাজের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছিল। এরই মধ্যে ঘোষণা এল, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, মাঠে থানার ভবন হচ্ছে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিবাদের সমাবেশ রূপ নিল আনন্দের সমাবেশে।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে সবাই সম্মিলিত কণ্ঠে গেয়ে উঠলেন, ‘আমরা করেছি জয় আজকে’। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এলাকাবাসী ও শিশু কিশোরেরাও এসে যুক্ত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বসে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা গণমাধ্যমের সামনে পড়ে শোনান মাঠ রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা রত্না। সুবিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করা গেলে মাঠ ফিরে পাব।’
তেঁতুলতলা মাঠটি ঢাকার আধুনিক মাঠ হিসেবে গড়ে তুলতে সংবাদ সম্মেলনে বসে মাঠের নকশা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, মাঠ উন্মুক্ত রাখার এ ঘোষণা এলাকাবাসী ও শিশু কিশোরদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার।
রাতের আঁধারে মাঠে দেয়াল তৈরির সমালোচনা করে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, সময়ের আগে ঠিকাদার যেভাবে তাঁর কাজ শেষ করেছেন, তাতে বিনা টেন্ডারে কাজ পেতে পারেন।
মাঠের উন্নয়নে পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকায় এ রকম দুটি মাঠ দরকার। মাঠ থাকলে শিশুরা খেলতে পারবে। বৃদ্ধরা বসে কথা বলতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, মাঠ না থাকলে আমাদের সন্তানেরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হবে। এটা হতে দেওয়া যায় না।
মাঠ ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিশু শুভহা সাফায়েত সিজদা। সে প্রথম আলোকে বলে, ‘শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা খুবই প্রয়োজন। আমরা ঈদ উপহার হিসেবে মাঠ পেয়েছি।’