বিপদ নাশের প্রার্থনায় পূজারিরা

>ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শনিবার শ্রীশ্রী সর্বজনীন বিপদনাশিনী পূজা উদযাপন করেছেন পুরান ঢাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আষাঢ় মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিপদনাশিনী দেবীর পূজা করা হয়ে থাকে। শাঁখারী বাজারের স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে এই পূজায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুণ্যার্থীরা যোগ দেন। দূরদূরান্ত থেকে ভক্ত নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ পূজা দেখার জন্য শনিবার সকাল থেকেই ভিড় জমান পুরান ঢাকার এই এলাকায়। সকাল থেকে অধিবাস, গীতা ও ভাগবত পাঠের মধ্যে দিয়ে পূজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। সন্ধ্যায় পূজায় আসা ভক্তরা প্রদীপ, সিঁদুর, প্রসাদ দিয়ে ডালা সাজিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে যান। সদরঘাটের ওয়াইজঘাটে ভক্তকুল দেবীর কাছে বিপদনাশের প্রার্থনা জানিয়ে প্রণাম করে মাঙ্গলিক ডালা ভাসিয়ে দেন। পরে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতার শেষ হয়।
রাজধানীতে এ পূজা উদযাপন করা হয়েছে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে।
রাজধানীতে এ পূজা উদযাপন করা হয়েছে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে।
দুপুর থেকে অধিবাস, গীতা ও ভাগবত পাঠের মধ্যে দিয়ে পূজার অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এই পূজায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুণ্যার্থীরা যোগ দেন।
পূজায় জাগতিক সংসার, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। একই সঙ্গে দেশে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার বিনাশ কামনা করে দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন পুণ্যার্থীরা।
জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এখানে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল।
বিপদনাশিনী পূজায় প্রার্থনারত ভক্তরা।
মাঙ্গলিক আচার ও যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজা সম্পন্ন করেন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব দুলাল সাধু।
পূজা শেষে প্রদীপ ভাসাতে বুড়িগঙ্গা নদীর পথে যাত্রা।
ভক্তরা প্রদীপ, সিঁদুর, প্রসাদ দিয়ে ডালা সাজিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।