রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান জামালের (২২) শান্তিবাগের বাসায় চলছে শোকের মাতম।
শোকে অনেকটাই নির্বাক সামিয়ার মা হোসনে আরা। তিনি এখন তাঁর প্রিয় সন্তানের লাশের অপেক্ষায়। শোকে কাতর এই মা বলেন, ‘বিচার চাই না। শুধু মেয়ের লাশ আমাকে পৌঁছে দিলেই হলো।’ আর সামিয়ার বাবা মো. জামাল উদ্দিন বলেছেন, ‘কার শাস্তি চাইব? বিচার নাই, বিচার কার কাছে চাইব?’
জামাল উদ্দিন এখন মেয়ের লাশ পেতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে অপেক্ষা করছেন। তিনি প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। মেয়ের লাশ রাজধানীর শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করার কথা ভাবছেন তাঁরা। লাশ পেলে আজকেই দাফন করবেন।
রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন সামিয়া। অকৃতকার্য হওয়ায় আবার পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু (৫৮)। একই ঘটনায় নিহত হন সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা সামিয়া।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সামিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের বান্ধবীর বাসা থেকে আমাদের বাসায় আসছিল সামিয়া। পরে ওর আম্মু বলল, “তোর মামা চট্টগ্রাম থেকে আসছে, বাসায় থাকার সমস্যা, আজকে তোর আসার দরকার নাই, বান্ধবীর বাসায় থাক।” পরে সামিয়া বান্ধবীর বাসায় ফিরে যাচ্ছিল, তখন এ ঘটনা ঘটে। তখন ওর বান্ধবী সঙ্গেই ছিল।’
জামাল উদ্দিন বলেন, তাঁর মেয়ের পিঠের বাঁ পাশে গুলি লেগেছে। তাঁকে একটা গুলি লাগার ছবি দেখানো হয়েছে।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সন্তানের এ রকম মৃত্যু কোনো মা-বাবারই কাম্য নয়।’