বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বায়ান্নর চেতনা আমাদের শাণিত করেছে, ধারালো করেছে। আর এর বলেই আজও আমরা দৈত্যের মতো একটা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছি। এই চেতনার উৎস হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন।’
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ রোববার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের পক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে এসে এ কথা বলেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের চেতনা বিএনপিকে শাণিত করেছে। বায়ান্নতে ছাত্রদের আত্মদান ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আজও তা আমাদের উদ্বুদ্ধ ও সাহসী করে অধিকার হারানো, গণতন্ত্র হারানো, কথা বলার স্বাধীনতা হারানোর বিপরীতে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা যূথবদ্ধভাবে সংগ্রাম করছি, মামলা-হামলা, গ্রেপ্তার, গুম ও খুন বরণ করে নিয়েও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
বিএনপির পক্ষ থেকে আজ সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাবীব-উন-নবী খানসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিজভী ও আমান।
রিজভী বলেন, স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে, সব দল বন্ধ করে, সব গণমাধ্যম বন্ধ করে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের মুক্তধারা বইয়ে দিয়েছে। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, কণ্ঠের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম জিয়াকে আজ বন্দী করা হয়েছে। কারণ, তাঁকে বন্দী না করলে ভোট চুরি করা যেত না, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যেত না।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘আজ দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত, একদলীয় শাসন চলছে।
ভোট ডাকাতি করে এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার, মাফিয়া সরকার। অবিলম্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের ভোটাধিকারের জন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’