বাস পোড়ানোর ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া পৃথক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১২০ জন নেতা-কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দিয়ে এই ১২০ জনকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১২০ জনের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি বাস পোড়ানো হয়।
এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলা হয়। এর বাইরে পুলিশের কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, তাতে মোট আসামি সাড়ে ছয় শর মতো। এর মধ্যে বাস পোড়ানো মামলার মোট আসামি সাড়ে পাঁচ শর মতো।
গত ১৬ নভেম্বর বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল জানিয়েছিলেন, ১৪টি মামলায় বিএনপির ১৪০ জন নেতা-কর্মী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ পৃথক জামিন আবেদনগুলো হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিন চান।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, সালাউদ্দিন দোলন, রুহুল কুদ্দুস, মজিবুর রহমান ও কাজী মো. জয়নাল আবেদিন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
পরে আবেদনকারীদের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, পৃথক ১৫টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২০ জন নেতা-কর্মী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।