বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চলে সামাজিক শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর।
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ৫০ বছর ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন এম জে আকবর। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভোরের কাগজ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি বর্ণনা করে এম জে আকবর বলেন, এই যুদ্ধের পর বিশ্বে নেতৃত্বের ধারা নতুন করে লিখতে হতে পারে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। নিজেদের রক্ষার জন্য অনেকেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা জরুরি উল্লেখ করে এই সাংবাদিক বলেন, ভারত-বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। দারিদ্র্য বিমোচনকে মূল লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে দুই দেশ। সংঘাত নিরসনে সংঘাত নয়, শান্তিকে গুরুত্ব দেয় দুই দেশ।
ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের নানা খারাপ দিক তুলে ধরেন এম জে আকবর। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দুটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। একটি হয়েছে ১৯৭১ সালে, পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে। আরেকটি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরে।
এম জে আকবর বলেন, ’৭৫ সালের পর বাংলাদেশকে স্বৈরশাসনের হাত থেকে মুক্ত করতে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মহাপুরুষ। আর শেখ হাসিনাকে বলতে হবে মহাশক্তি। তিনি দারিদ্র্য বিমোচনে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের ভূমিকা বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে স্থিতিশীল সরকার থাকায় এবং এই সরকারের প্রতি ভারত সহানুভূতিশীল হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এই স্থিতিশীলতার পেছনে ভারতের ভূমিকা রয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠান শেষে এম জে আকবরের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন পত্রিকাটির প্রকাশক ও সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. জমির, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।