প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রদীপ বিশ্বাস আজ সোমবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১৯ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই আদেশ দেন।
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম সারওয়ার জাকির প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার ২৬ জনের মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন প্রায় একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। দুই ঘটনায়ই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা জড়িত বলে জানা গেছে।
গত বছরের ১৯ মার্চ প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। পরে ওই বছরের ২২ অক্টোবর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আসামিরা হলেন খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মো. শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও মো. আবদুস সবুর ওরফে সামাদ, সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। তাঁদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ।
উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জিয়া এই গোপন সংগঠনের কথিত সামরিক শাখার প্রধান।