পিআইবি ও প্রেসক্লাবে শাহ আলমগীরের প্রতি শ্রদ্ধা

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সাজিদ হোসেন
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সাজিদ হোসেন

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের জানাজা পিআইবি ও প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁর কর্মক্ষেত্র পিআইবিতে এবং বেলা ৩টার পর জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

পিআইবিতে জানাজার আগে তাঁর সহকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। প্রেসক্লাবে জানাজার আগে সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় তাঁর সাবেক কর্মস্থল প্রথম আলোর পক্ষ থেকেও শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর তাঁর মরদেহ উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে বিকেলে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে তাঁর দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন মো. শাহ আলমগীর । তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর গোড়ানে পৈতৃক বাসভবনে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানে পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়–স্বজন শ্রদ্ধা জানান।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তাঁর চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজার আগে সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সাজিদ হোসেন

পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক পুত্র ও কন্যাসন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন। ছেলে আশিকুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করে কাজ করছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি অনন্যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেওয়ার মাধ্যমে শাহ আলমগীর সাংবাদিকতা শুরু করেন। এখানে তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহসম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।