নাসির ইউ মাহমুদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা

পরীমনির মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদসহ গ্রেপ্তার ৫ জন।
ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় গ্রেপ্তার নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় এ মামলা হয়। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্র বলছে, এ মামলায় আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে তাঁদের আজ মঙ্গলবার ঢাকার আদালতে হাজির করবে পুলিশ।

গতকাল বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আসামিদের গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান।

চিত্রনায়িকা পরীমনি ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গতকাল সাভার থানায় মামলা করেন।

পরীমনি গত রোববার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বের হন। বন্ধুটি তাঁদের নিয়ে যান আশুলিয়ার একটি ক্লাবে। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে নাসির ইউ মাহমুদ হঠাৎ জোর করে তাঁর মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও।

চিত্রনায়িকা পরীমনির অভিযোগ, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর অভিযোগ রেকর্ড করেননি; বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমনি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনায় মারাত্মক ভেঙে পড়েছেন পরীমনি। ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

রোববার সন্ধ্যার সময় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি।