ছাত্র অধিকার পরিষদ

ধর্ষণ–নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার শাহবাগে গণজমায়েত

শুক্রবার শাহবাগে গণজমায়েত করবে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আহমেদ দীপ্ত

নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনাসহ সারা দেশে অব্যাহত নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই গণজমায়েত হবে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা করে সংগঠনটি।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে যায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। তিন শতাধিক শিক্ষার্থী, সংগঠনের নেতা কর্মী শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওনা হয়। মিছিলটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে পুলিশের তৈরি করা ব্যারিকেডের সামনে এসে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা সড়কে বসে পড়েন। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ করেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।

বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ সভাপতি (ভিপি) ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগ, যুবলীগ জড়িত। এই আজকে যদি ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমরা গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে এই ধর্ষণ বন্ধ হবে না। এই ধর্ষণ থেকে আমরা রেহাই পাব না।’ তিনি বলেন, দেশে হত্যার, লুণ্ঠনের ও ধর্ষণের রাজনীতি চলছে। পুলিশ আজকে ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে। এই দুর্বৃত্ত, নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হচ্ছে, সেখানে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। এর দায় সরকারের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা সব দেশেই ঘটে’। তাঁর এই বক্তব্যে এই দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে না, মা-বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা চাই না।’

এর আগে বেলা সোয়া বারোটা থেকে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ধর্ষকদের বিচার করার পাশাপাশি যারা ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক তাদেরও বিচার করতে হবে। সেই বিক্ষোভ থেকেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জানানো হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা কালো পতাকা মিছিল বের করে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যায়।