স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার রয়েছে অপরিসীম অবদান। কিন্তু তার নেই যথাযথ স্বীকৃতি। তাই দেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ প্রদর্শনে বাংলাদেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অবদান বই আকারে লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে প্রবীণ উন্নয়নকর্মী সৈয়দ নূরুল আলমের আত্মজীবনীমূলক ‘আমার জীবন ও উন্নয়নের ৪৪ বছর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, মানুষের উন্নয়নে তার মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি প্রয়োজন মানবিক ও মানসিক বিকাশ। উন্নয়নকে টেকসই করতে প্রয়োজন মানুষের মনকে মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্ব দ্বারা বিকশিত করা। তাই মৌলিক ও মানবিক অধিকারের পাশাপাশি আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতে প্রয়োজন বেসরকারি উদ্যোগ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে দেশের উন্নয়নের ৫০ বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার আহ্বান জানান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, টেরে ডেস হোমস-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবীর, ব্যুরো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান।
রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে নানা ইস্যু ও পদ্ধতিতে কাজ করেছে বেসরকারি সংস্থাগুলো। কিন্তু ডকুমেন্টেশনের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে সেই কর্মকাণ্ডের ইতিহাস।
সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, তাঁর বইয়ে দেশের সামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নের ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। উন্নয়ন নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য এই বই পথরেখা হবে। বইটি পরবর্তী প্রজন্মকে উন্নয়নকর্মে উৎসাহিত করবে।