ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় কম ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।
এদিকে সকালে চাঁদপুর নৌপথে যাত্রীদের চাপ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, আমতলী, বরগুনা ও হুলারহাটসহ বেশ কয়েকটি রুটে যাত্রীদের ভিড় কম ছিল।
আজ সকালে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে চাঁদপুর নৌপথের পন্টুনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীরা পরিবার-পরিজন ও মালামাল নিয়ে গন্তেব্যের উদ্দেশ্যে লঞ্চে উঠছেন। চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোর ডেক যাত্রীতে প্রায় পূর্ণ ছিল। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চে। দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলোর পন্টুনে যাত্রীদের তেমন উপস্থিতি নেই। লঞ্চের কর্মচারীদের তেমন হাঁকডাক দেখা যায়নি। লঞ্চের ভেতরে ও ডেকেও যাত্রীসংখ্যা ছিল কম।
হুলারহাটগামী এমভি টিপু-১২ লঞ্চের কেরানি মো. সোহাগ জানান, লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা ছয়টায়। গার্মেন্টস (তৈরি পোশাক কারখানা) ছুটি হলে বিকেলে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে।
ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোর পাঁচটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত টার্মিনালে লঞ্চ এসেছে ৬৩টি এবং টার্মিনাল ছেড়ে গেছে ৩১টি লঞ্চ।
এদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনে আসেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক ও এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন আল রশিদ বলেন, ঈদের ৩ থেকে ৪ দিন আগে থেকে টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে এবার টার্মিনালে ভিন্ন চিত্র। তিনি আরও বলেন, টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। এতে লঞ্চের মালিকেরা চিন্তিত। আজ সকালে যাত্রী কম ছিল। তবে দুপুরের পর গার্মেন্টস ছুটি হলে টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কমেছে। কিন্তু ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য লঞ্চে পারাপারে আমাদের প্রস্তুতির কমতি নেই।’