করোনা মহামারির বিধিনিষেধ কাটিয়ে দুই বছর পর রমনার বটমূলে ফিরল ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠান। এর মধ্য দিয়ে আজ সাড়ম্বরে পালিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯।
রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারা দেশে বিস্তারিত হতে প্রেরণা সঞ্চার করেছে।
সেই থেকে (১৯৬৭) পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের রেওয়াজ। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরী পরিবেশের কারণে অনুষ্ঠান হতে পারেনি। ২০০১ সালে এ গানের অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করলেও অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি।
গত দুই বছরের দুঃসময় অতিক্রম করে নতুন আনন্দে জেগে ওঠার প্রেরণাকে মূল ভাবনা ধরে অনুষ্ঠান সাজিয়েছে ছায়ানট। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুন ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, দুঃসময় অতিক্রম করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আনন্দ নিয়ে এবারের নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন হচ্ছে। নতুন কর্মপ্রেরণায় জেগে ওঠার গান থাকবে অনুষ্ঠানে।
ছায়ানটের পাশাপাশি বর্ষবরণে থাকছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রকমারি কারুপণ্যের সম্ভার নিয়ে বৈশাখী মেলা প্রভৃতি। সাধারণত নববর্ষে পান্তা-ইলিশসহ নানা রকম দেশি খাবারের আয়োজন থাকে। তবে এবার পবিত্র রমজানে দিনের বেলায় এসব খাবারের আয়োজন থাকছে না। আর সব কর্মসূচিও রমজানের মর্যাদা রক্ষা করে পালন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে এবার বেলা দুইটার মধ্যে পয়লা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। বেলা একটার পর উৎসব এলাকায় কাউকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর সকাল সাড়ে ৯টায় টিএসসি থেকে শুরুর পর শোভাযাত্রা কেউ ঢুকতে পারবে না।