রাজধানী ঢাকার দিলু রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শিশুসহ তিনজন মারা গেছে। দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন দুজন। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত চারটার দিকে দিলু রোডের পাঁচতলা একটি ভবনে আগুন লাগে।
দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একজন ছেলেশিশু। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলছে, তিনজনের মরদেহের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫)। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শহিদুলের শরীরের শতকরা ৪৩ ভাগ ও জান্নাতুলের শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে বলে ঢাকা মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।
আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়ায় অসুস্থ চারজন সুমাইয়া আক্তার (৩০), মাহাদি (৯), মাহমুদুল হাসান (৯ মাস) ও মনির হোসেন। তাঁরা ওই ভবনের পঞ্চম তলার বাসিন্দা এবং একই পরিবারের সদস্য। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
ফায়ার সার্ভিস সকাল পৌনে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা এহসার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভোররাত চারটার দিকে ৪৫/এ নম্বর দিলু রোডের বাসাটিতে আগুন লাগার খবর পান তাঁরা। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের গ্যারেজ থেকে আগুন ছড়িয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের কর্তব্যরত কর্মকর্তা মো. বাবুল মিয়া ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, তিনজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওই ভবনের দারোয়ান লুৎফর রহমান জানান, বাসার নিচে গ্যারেজ থেকে আগুন লাগে। সেখানে পাঁচটা গাড়ি ছিল। আগুন গাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর ও এলাকাবাসীর ধারণা শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের পর ধোঁয়া ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।