‘দিনের কয়েক ঘণ্টা ঢাকা শহরের যানজটের’

রাজধানীতে যানজটের মাত্রা যেন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে
ফাইল ছবি

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষের এক ঘণ্টা করে অতিরিক্ত সময় গিয়েছে পথে। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী ছাত্রছাত্রী বা কর্মস্থলের যাত্রীরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ দীর্ঘ সময় লেগেছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে। তবে যাঁরা সকাল ১০টার পর কর্মস্থলে রওনা হয়েছেন, তাঁরা যানজট কিছুটা এড়াতে পেরেছেন।

সপ্তাহের শেষ দিনের কর্মদিবসের শেষ বেলায়ও যানজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন এই ভুক্তভোগীরা। কেউ কেউ বলছেন, ‘প্রতিদিনের কয়েক ঘণ্টার ওপর দাবি আসলে আমার নিজের নয়। এই কয়েক ঘণ্টা ঢাকা শহরের যানজটের।’

আনোয়ার হোসেন রাজধানীর কাঁঠালবাগান থেকে গণপরিবহনে যাত্রাবাড়ি রওনা হয়েছেন সকাল ৯টার দিকে। প্রতিদিন ৪০ মিনিট সময় লাগে বাসে যেতে কিন্তু আজ প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি পথে বসেছিলেন। বকশিবাজারে শিক্ষা বোর্ডের সামনেই প্রায় ৩০ মিনিট এক জায়গায় বসে থেকে চূড়ান্ত বিরক্ত হয়ে প্রথম আলোকে বললেন, দিনের শুরুটাই এমন হলে মেজাজ খারাপ হয় কি না বলেন?

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী জাওয়াদুল হাসান শ্যামলী থেকে কাওরান বাজারের উদ্দেশে রওনা হন সকাল সোয়া ৯টায়। যানজট না থাকলে বাসে আসতে প্রতিদিন তাঁর সব মিলে ৩০ মিনিট সময়ের প্রয়োজন হয়। আজ এক ঘণ্টার বেশি সময় গিয়েছে পথে। একপর্যায়ে দ্রুত কর্মস্থলে পৌঁছাতে তিনি বাস ছেড়ে রিকশা নেন। রাজাবাজারের ভেতরের অলিগলি দিয়ে আসতে চেষ্টা করেও যানজটে পড়েন। প্রথম আলোকে বলছিলেন, গলির ভেতরেও রিকশা আর ব্যক্তিগত পরিবহনের জন্য ভিড় হয়েছিল।

রাজধানীর নিকুঞ্জ থেকে নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে ব্যক্তিগত বাহনে যাত্রা করেছিলেন শামীম আহমেদ। মহাখালী, নাবিস্কো, সাতরাস্তা হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতেই কয়েক দফায় আটকেছে তাঁর গাড়ি। প্রথম আলোকে তিনি জানান, সকাল আটটার দিকেই সড়কে গাড়ি চলেছে থেমে থেমে।

তবে যাঁরা একটু বেলা করে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন, তাঁরা তুলনামূলকভাবে কম ভুগেছেন পথে। মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং থেকে মতিঝিল কর্মস্থলে গিয়েছেন এহতেশাম ইমাম। তিনি আজ ১০টার দিকে যাত্রা করে ৪০ মিনিটেই পৌঁছে গিয়েছেন কর্মস্থলে।