রাজধানী তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায় উড়াল সেতুর নিচে ছোট একটি মুদির দোকান মনোয়ারা বেগমের। তাঁর কাছে খোলা তেল রয়েছে। তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২২০ টাকা। দাম একটু বেশি হয়ে গেল না—এমন কথার জবাবে মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বেশি অইলে নিয়েন না।’
আজ সোমবার দুপুরে মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তাঁর দোকানের সামনে কথা হয়। তিনি বলেন, ঈদের পর একজনের কাছ থেকে পাঁচ কেজি খোলা সয়াবিন তেল এনেছেন। এখনো দুই কেজি তেল রয়ে গেছে। দাম বেশি হওয়ায় মানুষ কিনতে চায় না।
আজ তেজকুনিপাড়া উড়াল সেতুর নিচের ছয়টি দোকান ঘুরে দেখা যায়, একটিতে বোতলজাত সয়াবিন তেল রয়েছে, পাঁচটিতে নেই। চারটিতে খোলা সয়াবিন তেল আছে, যা ২১০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তেজকুনিপাড়ায় এখনো নতুন দামের বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করেনি তেল কোম্পানিগুলো। এখানকার রনি ট্রেডার্সের মালিক আমিনুল ইসলাম বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল ঈদের দুই দিন আগেই শেষ। তার পর থেকে কোনো কোম্পানি তেল দিয়ে যায়নি।
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সয়াবিন তেল না থাকায় শর্ষের তেলের ওপর চাপ পড়েছে। আমার দোকানে ছোট কয়েক বোতল শর্ষের তেল রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একবার শর্ষের তেল দিয়ে গেলেও এ সপ্তাহে আসেনি। আজকে না এলে হয়তো কোনো তেলই থাকবে না আমার দোকানে।’
তেল দিয়ে না গেলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে গত শনিবার রাত ১০টার পর ৪ কার্টন বোতলজাত সয়াবিন তেল আনেন তেজকুনিপাড়ার খোরশেদ জেনারেল স্টোর। গতকাল রোববার রাতে তা শেষ হয়ে যায়।
এই দোকানের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দোকানের ৭২ লিটার তেল শেষ। তবে কেউ অস্বাভাবিকভাবে তেল কেনেনি। আজকে আবার কারওয়ান বাজার থেকে নিয়ে আসব।’