ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, তাঁকে ডেঙ্গু মশা কামড়ালেও তাঁর ডেঙ্গু হয়নি। তাঁর দাবি, ডেঙ্গু মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয় না। ডেঙ্গু হতে হলে মশাটির শরীরে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু থাকতে হয়।
আজ শনিবার নগর ভবনে পৌর করদাতাদের মধ্যে বিনা মূল্যে অ্যারোসল স্প্রে ক্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, আমার বাড়ি মগবাজার। গত রোববার সকাল আটটার দিকে পিঠে কামড়ায়। আমি মশাটিকে মারি, মারার পর হাতে নিয়ে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখলাম সেটা ডেঙ্গু মশা, গায়ে সাদা সাদা দাগ, তত বড় হয়নি। সেই দিন ছিল রোববার, আজকে শনিবার, আমি এখনো ভালো আছি। আল্লাহর রহমতে আমার এখনো ডেঙ্গু হয়নি- আমি এই কথাটা কেন বললাম, বললাম এটা বোঝানোর জন্য ডেঙ্গু মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয় না। যেই মশার মধ্যে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু আছে সেটা কামড়ালেই ডেঙ্গু রোগ হয়।
তিনি বলেন, স্ত্রী মশা কিন্তু মানুষকে কামড় দেয়, পুরুষ মশা কামড় দেয় না। মানুষের রক্ত মশার খাবার না। এ সময় তিনি জিজ্ঞেস করেন রক্ত মশার খাবার কি না, আবার নিজেই জবাব দেন, রক্ত মশার খাবার এটা ‘কই পাইসেন?’ এরপর তিনি ব্যাখ্যা করেন, মশা ফলের রস খায়, পাতার রস খায়। এগুলো খেয়ে মশা বাঁচে। পুরুষ মশা মানুষের রক্ত খায় না। স্ত্রী মশা মানুষের রক্ত খায় শুধুমাত্র তখন, যখন তার পেটে ডিম থাকে। ডিম থেকে লার্ভা হয় এই ডিমটা বড় হতে প্রোটিন দরকার হয় এই প্রোটিন মানুষের রক্ত থেকে আসে। ডিমের খাবারের জন্য স্ত্রী মশা তখন মানুষকে কামড় দিতে পাগল হয়। তখন তারা মানুষকে কামড় দেয়।
এরপর তিনি বলেন, সব মশা কামড় দেয় না। শুধু স্ত্রী মশা কামড় দেয়, স্ত্রী মশাদের মধ্যে যারা এডিস মশা পেটে ডিম আছে সেগুলো কামড় দেয়। সেগুলো যদি এডিসের জীবাণু বহন করে তবেই শুধু তার কামড়ে ডেঙ্গু হবে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করেন, ডেঙ্গু বাহী এমন মশার পরিমাণ মাত্র ২৫%-৩০% । এই বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে বলে জানান তিনি।
এরপর তিনি সবাইকে মশার ওষুধ স্প্রে করার নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত জানান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু মশা আমাদের আক্রমণ করেছে। অনেকে আক্রান্ত হয়েছে, হাসপাতালে আছে, অনেকে মারা গেছে, আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।