মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আজ শুক্রবার ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সুবর্ণজয়ন্তী’ শিরোনামের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আজ শুক্রবার ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সুবর্ণজয়ন্তী’ শিরোনামের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বিশেষ প্রদর্শনী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সপ্তাহের সোম থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সুবর্ণজয়ন্তী’ শিরোনামের এই প্রদর্শনী আজ সকালে উদ্বোধন করেন সাংসদ মতিয়া চৌধুরী।

প্রদর্শনীতে ২৫টি আলোকচিত্র, ১৮টি ম্যাগাজিন ও পত্রিকা, একটি ডকুমেন্ট, একটি ভিডিও চিত্র ও একটি গান স্থান পেয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রথম তলার বাঁ পাশের ফ্লোরে প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছে।

মূল ফটক দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রবেশের পর প্রথমেই বাঁ দিকের একটি গ্যালারি সামনে পড়বে। সেখানে স্থান পেয়েছে ১৯৭১ সালের ১৩ আগস্ট সকালে কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের সামনে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করা বাংলাদেশ লিবারেশন কাউন্সিল ইন্টেলিজেনসিয়া ও বাংলাদেশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রামাণ্য দলিল।

গ্যালারির বিপরীত পাশে ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি ইংরেজি দৈনিক মর্নিং নিউজে ‘বঙ্গবন্ধুর শর্তহীন মুক্তি ঘোষণা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের কপি স্থান পেয়েছে।

তার পরের ত্রিভুজ আকৃতির গ্যালারির এক পাশে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি ছবি স্থান পেয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ বঙ্গবন্ধুর জন্য গাড়ির দরজা খুলে দিচ্ছেন।

সেখানেই দ্য বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারির ‘মুজিব স্পিকস ফ্রম লন্ডন: আই অ্যাম অ্যালাইভ অ্যান্ড ওয়েল’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন দেখা যাবে।

এর পেছনের গ্যালারিতে পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বড় একটি ছবি ঠাঁই পেয়েছে।

দর্শনার্থীরা এরই মধ্যে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়/ তুমি আজ ঘরে ঘরে এতো খুশী তাই’ গানটি শুনতে পাবেন। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এই গানটি প্রদর্শনীর পুরো সময় বাজানো হবে।

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ভারতের ভূমিকার দিকটিও জায়গা করে নিয়েছে প্রদর্শনীতে।

প্রদর্শনীতে ২৫টি আলোকচিত্র, ১৮টি ম্যাগাজিন ও পত্রিকা, একটি ডকুমেন্ট, একটি ভিডিও চিত্র ও একটি গান স্থান পেয়েছে

পাকিস্তানের কারাগার থেকে লন্ডন, ভারত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে।

প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবী মহামারির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। তা না হলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই প্রদর্শনী আরও বড় পরিসরে, আরও প্রাণবন্তভাবে করা যেত।

উদ্বোধনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, করোনার কারণে বিধিনিষেধ মেনে সীমিত পরিসরে প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিলাভের আগপর্যন্ত স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেনি।