ঢাবি ভর্তিতে আবেদন ফি ও খাবারের দাম কমানোর দাবিতে উপাচার্যকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ও আবাসিক হলগুলোর ক্যানটিনে খাবারের দাম কমানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। উপাচার্য দাবিগুলোকে ‘যথেষ্ট যৌক্তিক’ আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি ‘বাস্তবিক দিকগুলোও’ তাদের ভেবে দেখতে বলেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. রাকিবুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান।

ছাত্রদলের স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করে আসছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সমস্যায় দিনাতিপাত করছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্যানটিনগুলোতে খাবারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে৷ এতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা বিঘ্ন হওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে৷ ডাইনিং ব্যবস্থা বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে বিগত মাসগুলোতে কয়েক দফা খাবারের মূল্য বাড়ানো হয়েছে, কারণ যথাযথ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না৷ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের দখলদারি ও চাঁদাবাজিও এ মূল্যবৃদ্ধিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে৷ জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের জন্য এমন পরিবেশ অনাকাঙ্ক্ষিত, যুক্তিহীন ও হতাশাজনক৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের খাবারের মান ও পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষণে কোনো যথাযোগ্য ব্যবস্থা লক্ষ করা যায় না৷ এর কারণে শিক্ষার্থীদের দৈনিক ক্যালরি চাহিদা অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে৷’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থীর অভিভাবক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন৷ তা ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর চলমান ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত৷ এমন অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নতুন করে ফি না বাড়িয়ে ভর্তুকি দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সুগম করার স্বার্থে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবি জানাই৷ শিক্ষার্থীদের খাবারের মূল্য কমানো, ক্যানটিনগুলোতে ভর্তুকি দেওয়া ও খাবারের পুষ্টিমানের তদারকি সেল গঠন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করুণ দশা থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে এসে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করলে আমরা বিশেষভাবে বাধিত থাকব।’

করোনায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হয়৷ তখন খাবারের দাম করোনার ছুটির আগের সময়ের চেয়ে ৫-১০ টাকা বাড়ে৷ সম্প্রতি পবিত্র রমজান শুরু হলে খাবারের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে আসন্ন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি এক হাজার টাকা করা হয়েছে৷ এ ফি গত শিক্ষাবর্ষে ৬৫০ টাকা ও তার আগের শিক্ষাবর্ষে ৪৫০ টাকা ছিল৷