ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাড়পত্র পেয়েছেন। পরে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা জানতে চাইলে পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটি খুব সাহসী। এত বড় একটি বিষয় ফেস করেছে। হাসপাতালসহ সবার সহযোগিতা পাওয়ায় মেয়েটি বড় কোনো ট্রমার মধ্যে ছিল না। মেয়েটির জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির জন্য যে স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল, তা ফলো করা হয়েছে। ধর্ষণের কারণে মেয়েটি যাতে কোনো সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত না হয়, তার জন্য সার্বিক ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ফলোআপে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, ছাত্রীর বাবা তাঁকে হাতে লেখা একটি চিঠি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, হাসপাতাল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমসহ সবাই যেভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে, তার জন্য ছাত্রীর বাবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বাবা যেহেতু সবার সামনে এসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবেন না, তাই চিঠিটি লিখেছেন।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর এক স্বজন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, এই শিক্ষার্থী একটি শেল্টার হোমে থাকবেন, তবে শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা বিবেচনায় এ শেল্টার হোমের ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না।