শুধু ঢাকা বিভাগেই সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারি রয়েছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। দুই মাস আগে সংস্থাটির করা এক হালনাগাদ তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, তালিকা ধরে তারা মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক এলাকা থেকে ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান।
ফজলুর রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আগেও মাদক কারবারিদের তালিকা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি এ তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এখন ঢাকা বিভাগের মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, অভিযান পরিচালনার জন্য লোকবল ও সক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে অভিযানের সংখ্যা বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান জানান, ২১ আগস্ট বনানী ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম আইসসহ ১০ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গুলশান, ভাটারা, কুড়িল ও রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ৫৬০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ১ হাজার ২০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যক্তি হলেন জাকারিয়া আহমেদ (৩২), তারেক আহম্মেদ (৫৫), সাদ্দাম হোসেন (৩১), শহিদুল ইসলাম খান (৪৮) ও জসিম উদ্দিন (৫০)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা, গুলশান ও রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।