করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার সন্ধ্যায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬৯ নাগরিক ঢাকা ছেড়েছেন। কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি সারা বিশ্বে টালমাটাল সৃষ্টির পর এই প্রথম মার্কিন নাগরিকদের একটি দল বাংলাদেশ ছেড়ে গেল।
এর আগে গত সপ্তাহে মালয়েশিয়া ও ভুটানের নাগরিকদের একটি দল বাংলাদেশ ছেড়ে গেছে। মার্চের ২৪ তারিখ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সে দেশের ২৩০ জন এবং ২৫ মার্চ ড্রুক এয়ারের দুটি ফ্লাইটে ভুটানের ১২৪ নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যান।
কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশ কিছু নাগরিক বাংলাদেশ ছাড়ার আগ্রহ দেখিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে ফ্লাইট শিডিউল নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের দেশে পাঠানো হবে। আজ বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া মার্কিন নাগরিকদের বিদায় জানাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া মার্কিন নাগরিকদের প্রায় ৮০ শতাংশই হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। তাঁরা কিছুদিন ধরে এখানে আটকে পড়েছিলেন। এ ছাড়া কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে যাওয়া মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বয়স্ক এবং শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগী আছেন। আর মার্কিন দূতাবাসের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের দেশে থাকা স্বজনদের সেবা-শুশ্রূষার জন্য ফিরে গেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, তাঁর দেশের নাগরিকদের একটি অংশ স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ ছাড়তে ইচ্ছা প্রকাশের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাঁদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। যেভাবে অন্য দেশ থেকেও মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরত নেওয়া একটি সাময়িক ব্যবস্থা। বৈশ্বিক পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখন তাঁরা আবার ফিরে আসবেন।