ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ইউরোপের প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের এ৩৫০ মডেলের উড়োজাহাজ নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হলো। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ আধুনিক উড়োজাহাজটি আগের মডেলের তুলনায় ২৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিচালন ব্যয়ও ২৫ শতাংশ কম। একই সঙ্গে আগের যে কোনো প্রজন্মের (জেনারেশন) তুলনায় ২৫ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ করে।
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালের সম্মেলনকক্ষে আজ রোববার এয়ারবাসের এ৩৫০ মডেল নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এয়ারবাস হলো ইউরোপের একাধিক দেশের মালিকানাধীন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালের ১৮ ডিসেম্বর এটি যাত্রা শুরু করে।
অনুষ্ঠানে এয়ারবাস ইন্ডিয়ার পরিচালক এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেমি মাইয়ার্ড বাংলাদেশকে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ‘অর্থনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র’ অভিহিত করেন। বাংলাদেশকে এভিয়েশন খাতে আরও উড়োজাহাজ যুক্ত করতে মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। রেমি মাইয়ার্ড বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ‘এভিয়েশন হাবে’ পরিণত হবে।
বাংলাদেশে উড়োজাহাজের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা তুলে ধরে এয়ারবাস জানায়, ২০৪০ সাল নাগাদ ১৬০টি উড়োজাহাজের প্রয়োজন হবে। এই চাহিদা পূরণেই দেশের এয়ারলাইনসগুলোতে উড়োজাহাজ দিতে চায় তারা।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে উড়োজাহাজ আছে ৪৮টি। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলোতে যাত্রী চলাচলের পরিমাণ, কার্গো ফ্লাইটের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বাড়তে পারে। দেশে প্রতিবছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যের ট্রাফিক গড়ে ৯ শতাংশ বাড়ছে বলেও জানানো হয়। সারা বিশ্বে ট্রাফিক বাড়ার এই হার ৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে এয়ারবাসের ওয়াইড বডি মার্কেট ডেভেলপমেন্টের প্রধান ফ্রাঞ্চুয়া ওবে নতুন মডেলের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে বলেন, বাজারের অন্যান্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এটি হালকা। এই মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যাত্রীদের বিশ্বমানের সেবা দিতে পারবে।
এয়ারবাসের ওয়াইড বডি মার্কেট ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপক এমিলিয়ন আলভেরিস রোবলেস বলেন, এ৩৫০ মডেলের উড়োজাহাজ ৩০০ থেকে ৪১০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। রোলস রয়েলস ইঞ্জিনের এই উড়োজাহাজে শব্দও অন্য উড়োজাহাজের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। আছে ওয়াই–ফাই সুবিধা।