ঢাকায় আ. লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুসহ দুজন নিহত হন
ফাইল ছবি

রাজধানীর শাহজাহানপুরের দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুসহ দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে এই মামলা করেন। ফারহানা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (মতিঝিল এলাকা)। মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে দলীয় কোন্দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন জাহিদুল। গত চার-পাঁচ দিন আগে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী জাহিদুলকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে জাহিদুল (৫৮) নিহত হন। একই ঘটনায় নিহত হন সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান (২২)। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালক।

জাহিদুলের বাসা খিলগাঁওয়ের বাগিচা এলাকায়। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, জাহিদুল মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। তাঁর মতিঝিল কাঁচাবাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে আছে। তিনি এই ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।

এজাহারে বলা হয়, দুর্বৃত্তের গুলি জাহিদুলের গলা, বুক, পেট, কাঁধ, পিঠ, কোমরসহ শরীরের একাধিক স্থানে বিদ্ধ হয়েছে। দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।

জাহিদুল খুনের ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

জাহিদুল হত্যার ঘটনায় বেশ কিছু আলামত ও তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

পুলিশ জানায়, যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি জাহিদুল। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হন। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়।